Breaking News

বনগাঁ, পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশিষ্ট শহর, হায়ার সেকেন্ডারি মাদ্রাসায় হিংসাত্মক হামলায় স্তম্ভিত

 

Killer image 👆 


বনগাঁ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি প্রাণবন্ত শহর, যা তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কৌশলগত অবস্থানের জন্য বিখ্যাত, ২৮ মে, ২০২৫-এর সন্ধ্যায় একটি মর্মান্তিক ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়েছে। ফুরফুরা শরীফের দাদা হুজুর এবং তাঁর পুত্রদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বনগাঁ হায়ার সেকেন্ডারি মাদ্রাসা, একটি সম্মানিত হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এই ভয়াবহ হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যা সম্প্রদায়কে বিমূঢ় করে দিয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি, যাকে কর্তৃপক্ষ মানসিকভাবে অস্থির বলে বর্ণনা করেছে, ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নিজেকে ছদ্মবেশে সাজিয়ে মাগরিবের নামাজের সময় মাদ্রাসার মসজিদে প্রবেশ করে, সঙ্গে একটি বড় ছুরি নিয়ে। এই হামলাকারী শিক্ষক ও ছাত্রদের লক্ষ্য করে নৃশংস হামলা চালায়। প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন, তবে অপ্রমাণিত খবরে বলা হচ্ছে যে পাঁচ বা ততোধিক শিক্ষক এবং দশের বেশি ছাত্র এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এবং দুই থেকে পাঁচজন ছাত্রের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। তবে এই হতাহতের সংখ্যা এখনও তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়নি।

বনগাঁ পুলিশ জেলা এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে তারা বলেছে: “আজ সন্ধ্যায়, বনগাঁ থানা এলাকায় একজন মানসিকভাবে অস্থির ব্যক্তি ক্ষোভে চারজনের উপর ছুরি দিয়ে হামলা করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর, উত্তেজিত জনতার একটি দল থানায় পৌঁছে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অভ্যর্থনা ডেস্ক ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং দাঙ্গায় জড়িত দশজনকে গ্রেপ্তার করে। থানায় সহিংসতার চেষ্টায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। ছুরিকাঘাতে আহত চারজন বর্তমানে চিকiৎসাধীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং এই ঘটনার কোনও সাম্প্রদায়িক দিক নেই। সকলকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, এবং গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #StayAwayFromRumorMongering #BongaonPoliceDistrict #WestBengalPolice”

এই হামলা বনগাঁর ওয়ার্ড নং ১-এ, মতিগঞ্জের কুঠিবাড়ির কাছে ঘটেছে, যেখানে খানকাহ শরীফ নামে পরিচিত মাদ্রাসাটি ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য একটি আবাসিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এই ঘটনা ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, এবং স্থানীয় জনগণের একটি দল বনগাঁ থানার বাইরে বিক্ষোভে জড়িয়ে থানার প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, এবং জনতার মধ্য থেকে দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং অশান্তিতে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোর দিয়ে বলেছেন যে এই ঘটনার কোনও সাম্প্রদায়িক ভিত্তি নেই এবং জনসাধারণকে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশ হামলার উদ্দেশ্য নির্ধারণের জন্য তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে, এবং কর্তৃপক্ষ শহরে শান্তি পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।

বনগাঁ, তার প্রাণবন্ত সম্প্রদায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচিত একটি শহর, এখন এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রশাসন ঐক্য ও শান্তির আহ্বান জানিয়েছে, বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছে যে আরও অশান্তি রোধ করতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Attacked on teachers










No comments